Skip to main content

Posts

Showing posts from 2015

আমার না না রঙের দিনগুলি

------------------------------------------ এই ক’দিন আগেও অনায়াসে সবকিছু মনে করতে পারতাম। রাতে কখনও রঙ মাখানো দিনগুলো চোখে আবির লাগিয়ে যেত। কিভাবে যেন শিমুল তুলোর মতো আলো-আধারির মায়ামাখা সময় বাতাসে ডানা মেলে পালিয়ে যাচ্ছে। কারো কথা মনে হলে কি এক ভাল লাগা জড়িয়ে ধরত। এখন মনে হচ্ছে অনুভূতিটাতে জং ধরছে ...মরচে পড়ে ঝুরঝুর করে সে সব ভেজা ভেজা লোনা অনুভূতি গুড়ো হয়ে ঝরে যাচ্ছে... গতরাতে ঠিক করলাম যা মনে আসে লিখে রাখি..এটা নিজের সাথে কথা বলা...চোখ মুদে যাবার আগে একটু ভাল লাগা... এক. আমাদের টিনের চালে বৃষ্টির দাপাদাপি আর জুমুর বাজন শুনে বর্ষার দুপুরটার কথা মনে পড়ে আর বিরস সন্ধ্যা আঙিনার কোণের লেবু তলায় যখন ঘনিয়ে আসে তখন কেমন যেন অচেনা চারিদিক। এভাবে বর্ষা যায় কখন যে শীত আসে জানা হয় না... এমন এক শীতের সন্ধ্যায় কে আমাকে কোলে নিয়ে বাড়ির পুব কোণে একটা খাটিয়ার কাছে গেল তারপর সাদা কাপড়ে মোড়ানো একটা লাশ দেখিয়ে বলল...বাবু..ঐ যে তোর মা...

বাংলা ভূখন্ডে ক্যালিগ্রাফির পদযাত্রায় শিলালিপির ভূমিকা

Muhaqqaq style -মোহাম্মদ আবদুর রহীম ক্যালিগ্রাফিকে শুধুমাত্র 'হাতের লেখা' বলে পরিচয় দিলে অসম্পূর্ণ থেকে যায় এর অর্থ। 'সুন্দর হাতের লেখা' বললে আক্ষরিক অর্থ বলা হয়। আরব সিভিলাইজেশন প্রবন্ধে বলা হয়েছে- আরবি লিপিকলা প্রবহমান নকশা এবং জটিল জ্যামিতিক ডিজাইনের সমন্বয়। এই নান্দনিক লিপিকলা সম্পর্কে আলেকজান্দ্রিয়ার দার্শনিক ও গণিতের জনক ইউক্লিদ বলেন, "একটি 'আধ্যাত্মিক কৌশল' হিসেবে ক্যালিগ্রাফিকে গত ১৩শত বছর ধরে আরবদের কলম শুধু বিশুদ্ধ এবং সমৃদ্ধ করেছে।" আসলে ক্যালিগ্রাফি হচ্ছে লিপিকলা বা লিপি দিয়ে যে শিল্পকর্ম করা হয়। Muhaqqaq style বাংলা ভূখন্ডে প্রাচীন কাল থেকে যারা শাসন করেছেন, তারা সুবিধামত একটি ভাষাকে রাজভাষা করেছেন এবং নথিপত্রে তা ব্যবহার করেছেন, জনসাধারণের সাথে সংযোগের ক্ষেত্রে এভাষায় জনহীতকর কাজের পরিচিতি ফলক বানিয়েছেন। প্রাচীনকাল থেকে এ অঞ্চলে পাথরে, তাম্র ফলকে এর নিদর্শন দেখা যায়। কাগজ বা টেকসইবিহীন মাধ্যমে এই নিদর্শন পাওয়া দুষ্কর। একটা মজার বিষয় হচ্ছে, ক্যালিগ্রাফির সত্যিকার পদযাত্রা নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে প্রাচীন নিদর্শ...

মহানবীর (স.) সময়কার লেখা কুরআনের সন্ধান ও প্রসঙ্গ কথা

  নমুনা-১ মোহাম্মদ আবদুর রহীম  সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মহানবীর (স.) সময়কার লেখা কুরআনের সন্ধান বিষয়ক খবর ও ছবি ছাপা হয়েছে। বইপত্র ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সহজলভ্য ও যাচাইয়ের সুযোগ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সঠিক তথ্য বের করার সুযোগ হয়েছে। প্রকাশিত খবরটি সঠিক কিন্তু ছবিটি সঠিক নয়। দৈনিক সংগ্রাম ও আরটিএনএন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ছবিটি তুরস্কভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ড বুলেটিনের বরাত দিয়ে ছেপেছে। স্ক্রিনশট-১  ঐ সাইটটিতেও একই ছবি আছে।(স্ক্রিনশট-১) অন্যদিকে সময়ের কন্ঠস্বরসহ কয়েকটি সাইটে প্রকাশিত নিউজের সূত্র ওয়ার্ল্ড বুলেটিন দিলেও ভিন্ন ছবি ছেপেছে।(স্ক্রিনশট-২) স্ক্রিনশট-২  প্রকাশিত এই দুটি ছবি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এগুলো কুরআনের পাতা ও লিপির ভেতর জের-জবর-পেশ নোকতা ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ মহানবীর (স.) সময়ে কুরআনের লিপিতে এগুলো ছিলনা। উমাইয়া খলিফা মারওয়ানের সময়ে মক্কার প্রশাসক হাজ্জাজ বিন ইউসুফ সাকাফি(৬৬১-৭১৪ ইসায়ি) অনারব ও আরবি ভাষায় অনভ...