Skip to main content

বাংলাদেশ সাত্তার জামে মসজিদ



রাজধানী ঢাকার অদূরে শ্রীপুরের মাওনায় আন্তর্জাতিক মানের বিশাল আয়তনের একটি মসজিদ নির্মান করা হচ্ছে। বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী আবদুস সাত্তার এ মসজিদটির নির্মাণ ব্যয়ভার বহন করছেন।

মসজিদটিতে পর্যায়ক্রমে আরবি ক্যালিগ্রাফি এবং ইসলামী নকশা দিয়ে সুশোভিত করা হবে। চমৎকার দৃষ্টিনন্দন শিল্প সুষমা মন্ডিত এ স্থাপনায় তিনশতেরও বেশি ন্থানে ক্যালিগ্রাফি ও অলঙ্করনের কাজ হবে। এজন্য তুরস্কের বিখ্যাত ক্যালিগ্রাফার ও কুরআন-মুফাসসির মোজাফ্ফর আহমদ সম্ভাব্য ক্যালিগ্রাফি(সুলুস লিপি) এবং পার্শ্ব অলঙ্করণ কাগজে ও সফট কপি করে পাঠান। একাজে তার পক্ষ থেকে সহায়তা করেন ঢাকাস্থ তুর্কি স্কুলের শিক্ষক আবদুল কারিম। ক্যালিগ্রাফি ও সৌন্দর্য বর্ধন কাজে প্রয়োজনীয় ক্যালিগ্রাফি ও নকশা সম্পাদনা, তদারকি, সমন্বয় এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নতুন করে অঙ্কনের কাজ ও স্থাপনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ক্যালিগ্রাফার মোহাম্মদ আবদুর রহীম। পবিত্র স্থাপনাটির মূল নকশা ও নির্মাণ করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আর্কিটেক্ট কে এম মাহফুজুল হক জগলুল এবং তার প্রতিষ্ঠান ইন্টার্ডেক সিস্টেম।  মূল স্থাপনার বাহিরে এ্যাকোয়া হোয়াইট মার্বেল পাথরে উৎকীর্ণ করে প্রায় দেড় হাজার বর্গফুট সুলুস লিপিতে আরবি ক্যালিগ্রাফি করা হবে। মসজিদের অভ্যন্তরে মার্বেল পাথর, জিপসাম টেরাকোটা, টাইলস গ্লেজ ফায়ার ও রঙের মাধ্যমে ক্যালিগ্রাফি ও অলঙ্করণ করা হবে। বাহির ও ভেতরে পবিত্র কুরআনের আয়াত দিয়ে সুলুস শৈলীতে এসব ক্যালিগ্রাফি করা হবে। এছাড়া মিহরাব, আর্চ, সিলিং, কলাম, বীম ও দেয়ালে ফুল-লতা-পাতার মটিফ নির্ভর ইসলামী নকশা ও আসমাউল হুসনার ক্যালিগ্রাফি সহকারে সুশোভিত করা হবে। এটি পাথর এনগ্রেভ, জিপসাম প্লাস্টার কাটাই, রঙ, টাইলস বার্ণ ও এ্যাম্বুস পদ্ধতিতে করা হবে।


বাংলাদেশে সাত্তার জামে মসজিদ প্রথম ব্যতিক্রমধর্মী একটি আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের অলঙ্করণশোভিত মসজিদ। বলা যায়, বাংলাদেশে মসজিদ স্থাপত্যে ক্যালিগ্রাফি ও অলঙ্করনে আন্তর্জাতিক শিল্পমানের সর্বোচ্চ প্রয়োগ এটিই প্রথম। বাংলাদেশে মসজিদ নির্মাণে আন্তর্জাতিক মানের ক্যালিগ্রাফি ও ইসলামী অলঙ্করণ শিল্পের অসাধারণ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সাত্তার মসজিদ অগ্রদূত ও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

২০১২ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০১৪ সালে প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
সিলিং নকশা।  
উত্তর পাশে ক্যালিগ্রাফি
ড্রপ ওয়ালের নিচের নকশা
সদর দরজা
দক্ষিণ পাশ
করিডোর ক্যালিগ্রাফি
করিডোর ক্যালিগ্রাফি দক্ষিণ পাশ
দক্ষিণ পাশ

Comments

Popular posts from this blog

ক্যালিগ্রাফি বনাম ক্যালিওগ্রাফী

সকালে ওয়ার্ড কমিশনারের সচিব মহোদয় ফোন দিয়ে জানতে চাইলেন গতকালের পুরন করা ফরমে শব্দটা কি ক্যালিগ্রাফি নাকি ক্যালিওগ্রাফী হবে? বললাম, কি বানান ওখানে দেয়া আছে, তিনি বললেন, ক্যালিগ্রাফি। বললাম, জ্বি, বানান ওটাই হবে। তিনি সন্দেহের সুরে জানালেন, এতদিনতো এটা ক্যালিওগ্রাফী বলে জানতাম! আমি হেসে বললাম, আমরা কত কিছু যেভাবে ধারণা করি, আসলে তা সেরকম নয়।  সেই নব্বই দশকের কথা, বাংলা সাহিত্য পরিষদে এক মাসিক সাহিত্য সভায় ক্যালিগ্রাফি বিষয়ে লেখা পাঠ করে বিপদে প ড়ে যাই। পাঁচজন আলোচক আমাকে আচ্ছা করে ধুইয়ে দিলেন, এত অল্প জেনে কেন এমন একটি কঠিন বিষয়ে লিখতে গেলাম, কারন বিষয়টির বানানই আমি ভুল করেছি, তারা বললেন, শুদ্ধ বানান হবে 'ক্যালিওগ্রাফী'। আমি তখন একেবারে আনকোরা লেখক। এত সমালোচনা সহ্য করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না, দাড়িয়ে বললাম, আমার লেখার সমালোচনার জবাব দিতে চাই। অনুষ্ঠানের সভাপতি তখন বোধহয় আবদুল মান্নান তালিব ছিলেন, তিনি অনুমতি দিলেন। সেই জবাবি ভাষা একটু রসকষহীন হয়েছিল, এমন কি জবাব দেয়ার মধ্যেই একজন অভিধান নিয়ে এলেন পাশের লাইব্রেরি কক্ষ থেকে, অবশেষে হলভর্তি লেখক শ্রোতা মানতে বাধ্য হলেন, শব্দট...

দুটো নতুন ক্যালিগ্রাফি

Monogram of Bangladesh Calligraphy Foundation এক বন্ধুর স্ত্রী-সন্তান বাসায় এসেছিল বেড়াতে । ক্যালিগ্রাফি দেখে তারা খুব খুশি । তাদের আগ্রহ মেটাতে দুটো নতুন ক্যালিগ্রাফি করলাম । অবশ্য ডিজিটাল একটা আগেই করেছিলাম । এক. সাব্বি হিসমা-আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামের পবিত্রতা বর্ণনা করুন। ক্যানভাসে এক্রিলিক রঙ। দুই. আল্লাহ, লাইলাহা ইল্লাল্লাহ। হ্যান্ডমেড পেপারে একরামিন রঙ। ডিজিটাল ক্যালিগ্রাফি

নতুন ক্যালিগ্রাফি ট্রেডিশনাল স্টাইলের বই

প্রিয় বন্ধুরা একটি নতুন ক্যালিগ্রাফি ট্রেডিশনাল স্টাইলের বই লিখেছি। নাম- সুলস লিপিশৈলী । এটি একটি গবেষণা গ্রন্থ এবং খুব সহজে ক্যালিগ্রাফি শেখার বই।