এক বন্ধু বলল, ম্যাঙ্গো ট্যুরে যাবে নাকি? আমি রাজি হয়ে গেলাম। কাকরাইল থেকে খুব ভোরে যাত্রা শুরু হল। শুক্রবার হলেও জ্যাম ঠেলতে ঠেলতে চাপাই নবাবগঞ্জের দিকে আমাদের গাড়ি ছুটে চল্ল। পথে জুমার নামাজের কিছুক্ষণ বিরতি। তারপর নাটোর উত্তরা গণভবন, রাণীভবানীর রাজবাড়ি। সেখান থেকে পদ্মার পাড়ে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ, সারদা পুলিশ একাডেমী দেখলাম। রাতে রাজশাহী অবস্থান। পরদিন ভোরে পদ্মার পাড় ধরে চলে যাওয়া হাইওয়ে দিয়ে চাপাই চল্লাম। রাস্তার দুপাশে যতদূর চোখ যায় শুধু আমের বাগান। আমগুলো এমনভাবে ঝুলে আছে যেন মাটিতে শুয়ে আম পাড়া যাবে। অথচ ছোট-বড় কেউ আম পাড়ে না! এখানকার লোকজন এত ভদ্র! পরে জানতে পারলাম, আম বিষয়ে এখানে আইনকানুন ভীষণ কড়া। অনুমতি ছাড়া আম পাড়লে সেটা খুনোখুনি পর্যায়ে চলে যায়। তবে তলায় পড়া আমের কোন মালিকানা নেই, যে পাবে সেটা তার। আমের এত প্রাচুর্য কানসাট বাজারে দু'মাইল রাস্তার দুপাশে হরেক পদের আম। গোপালভোগ, হিমসাগর, ক্ষিরসাপাত, নেংড়া, আম্রপলি, আশ্বিনা, ফজলি, কাজিপসন্দ, রানীপছন্দ, গোলাপমুখী ইত্যাদি ঝুড়ি ভর্তি আমের সমাহার। তিনমাস ধরে এখানে এই জমজমাট ব্যবসা চলবে। আমরা সোনা মসদিজ স্থলবন্দরের...